পাইকার ও কৃষক সরগরম সন্ধ্যার পরই জমে ওঠে মানিকগঞ্জ জাগীরের সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজির আরৎ। সন্ধ্যা থেকেই শীতের সবজি মুলা, কপি, বেগুন, ধনেপাতা, আলু, লাউ, সিম ওবিভিন্ন ধরনের সবজি আসে এখানে বিষমুক্ত সবজি পাওয়া যায় জেলা শহর ঢাকার পাইকারি আরৎ এর কদর একটু বেশি ।
মানিকগঞ্জ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে বাজারে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে দিশেহারা কৃষক। জেলায় মুলা ৫ টাকা, ফুলকপি ৫ টাকা,আলু ১০ টাকা,টমেটো ১০ টকা ও পাতাকপি ৩/৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ন্যায্য দাম না পাওয়ায় উৎপাদিত সবজি এখন পানির দামে বিক্রি করছেন কৃষকরা। বাজারে দাম কম তাই চাষিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। সবজির চাষ করে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
কৃষক তারা মিয়া ও আলমগীর জানান, দেশের অন্যান্য জেলায় সবজির চাহিদা না থাকায় স্থানীয় কৃষকরা কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। কৃষকরা সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা দিয়ে উৎপাদিত ফসলের খরচের চার ভাগের একভাগ ও উঠে আসবে না এমন কি ভ্যান ভাড়াও উঠছে না বলে জানান তারা।
বাজারের আরৎদার বিল্টু বলেন, শীতের সবজি এবার আমরা পানির দরে বিক্রি করছি। তারা বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষক তো আরও কম দরে আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন। এবারে সবজি চাষে কৃষক লোকসান ছাড়া লাভের মুখ কেউ দেখতে পাবে না।